শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিএনপির নালিশ ছাড়া আর কোনো অবলম্বন নেই।আজ শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকম-লীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের যৌথসভার পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। এই বিজয় উদযাপনের জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিতেই এ যৌথসভা আয়োজন করা হয়।যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সম্পাদকম-লীর সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ঢাকার আসনগুলো থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির বিদেশিদের কাছে নালিশ করা ছাড়া এখন আর অবলম্বন কি ? ১০ বছর ধরে একটা আন্দোলন করতে পারেনি। জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে চরমভাবে পরাজিত হয়েছে। আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ, এখন তাদের নালিশ ছাড়া আর কোনো অবলম্বন নেই।’তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা দেশের লোকের কাছে তো অনেক বলেছে, এখন বিদেশিদের কাছে তারা নালিশ করে যাচ্ছে। সেটা তাদের পুরানো অভ্যাস, পুরোনো অভ্যাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এখানে আমাদের কি বলার আছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেসব কথা বার্তা বলছেন, এটা আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ একজন রাজনীতিকের অসংলগ্ন সংলাপ।’অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি উদাহরণ দিয়ে বলি। শুধু হাতিয়ার দিকে দেখুন। যেখানে বার বার আমরা চেষ্টা করেও নেতাদের এক করতে পারি নাই। অনেক চেষ্টা হয়েছে সেখানে সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য, বারবার চেষ্টা করেছি। এবার কঠিন ঐক্য ছিল, হাতিয়া সবার আগে ঐক্যবদ্ধ ছিল, এক মঞ্চে সবাই। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরেও তারা ঐক্যবদ্ধ আছে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল ১৭ জন। শেষ পর্যন্ত কিন্তু থাকেনি, আমাদের নেতৃবৃন্দের প্রয়াসে আমরা বিদ্রোহকে প্রশমিত করতে পেরেছি। দৃশ্যমান তেমন কোনো বিদ্রোহ আমাদের পরিলক্ষিত হয়নি। এটাই আওয়ামী লীগের বিজয়ের প্রথম সোপান।সৈয়দ আশরাফের স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সৈয়দ আশরাফ ছিলেন একজন সৎ, পরিচ্ছন্ন, সফল রাজনীতিক। তিনি তার সততা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও মেধা দিয়ে তা প্রমাণ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের বাইরেও অন্য রাজনৈতিক দল ও শে্িরণ-পেশার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে স্থান করে নিয়েছিলেন।বৈঠকের শুরুতে প্রয়াত আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বি এম মোজাম্মেল হক ও এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।